নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ১৪৪ ধারা শেষে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কিরের হ’ত্যাকা’রীদের গ্রে’ফতার ও বিচার দাবিতে আবারও পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করেন আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল গ্রুপ। সোমবার সন্ধ্যায় বসুরহাট রুপালী চত্বরে নিহত সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজা’ক্কিরের স্মরণে শোক সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেন মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।





এ সময় তিনি সাংবাদিক হ’ত্যাকা’রীদের খুঁজে বের করার জন্য সুষ্ঠু তদন্তের দায়িত্ব পুলিশকে না দিয়ে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই ও ডিজিএফআইকে দেয়ার দাবি জানান।তিনি বলেন, ফেনীর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একরামকে প্রকাশ্যে হ’ত্যা’র বি’চার এ দেশে হয়নি। বিচার হয় জজ মিয়াদের। বিএনপি ও আর সাধারণ লোকদের আ’সা’মি করা হয়েছে। তাই দলীয় নেতা-কর্মীদের তিনি সর্তক থাকার অনুরোধ করেন।





বাদল গ্রুপ নিজেরা নিরীহ সাধারণ লোকদের মে’রে প’রে দ’লের ত্যাগী ও সাধারণ নেতা কর্মীদের বি’রুদ্ধে মা’মলা দেবে। মির্জা কাদের আরও বলেন, বিচার করবে নেত্রী। আমার নেত্রী। তিনি আমাকে ভালোবাসেন। আমি আল্লাহকে হাজির নাজির জেনে বলছি আমার শক্তি আমার নেত্রী।আমি কারও কাছে মাথা নত করব না। আমি সত্য বলব। সাদাকে সাদা বলব। আর এটি বলতে গিয়ে আমার রক্তের লোক হলেও তাদের বি’রুদ্ধে বলে যাব। আমি ছেড়ে দেব না। এখন নেত্রী বলেছে চুপ থাকার জন্য। তাই চুপ আছি। দেখি নেত্রী আমাকে শেষ কী দেখান।





অপরদিকে কোম্পানীগঞ্জের টেকেরহাট বাজারে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানসহ আওয়ামী লীগের একাংশ সাংবাদিক মুজাক্কিরের হ’ত্যার প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভা করেন। মুজাক্কিরের হত্যাকারী হিসেবে আবদুল কাদের মির্জাকে দায়ী করে তার দৃষ্ট’ন্তমূলক শা’স্তি ও তাকে দল থেকে বহি’ষ্কারের দাবি জানান তিনি।





তিনি বলেন, মির্জা কাদের উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, তিনি কিভাবে সভাপতি সেক্রেটারিকে ব’হিষ্কার করেন? যুবলীগের সভাপতি ও সেক্রেটারি, ছাত্রলীগের সভাপতি ও সেক্রেটারিকে ব’হিষ্কার করেন? এটি তার এখতিয়ারে আছে?মির্জা কাদের একজন হ’ত্যাকা’রী। সাংবাদিক মুজাক্কিরসহ এ নিয়ে তিনি পাঁচটি হ’ত্যা করেছেন। তিনি এখনও থামেননি। তিনি এখন তার লোকজনদের বলছেন আমিসহ তার ভাগিনা রাহাত, মঞ্জু, আরিফ, আলোক, রিমন ও রাজ্জাক চেয়ারম্যানকে যেভাবেই হোক হ’ত্যা করতে হবে।





তিনি আরও বলেন, আমার প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের কাছে আকুল আবেদন আমরা বাঁচতে চাই। আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে বাঁচতে চাই। এ পরিস্থিতি থেকে আমাদের উদ্ধার করুন।উল্লেখ্য, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ সোমবার কোম্পানীগঞ্জে ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন।’




